এই মাত্র
লোডিং...
ট্রেজারি চালান ফরম পূরণ করার সঠিক নিয়ম

ট্রেজারি চালান ফরম পূরণ করার সঠিক নিয়ম

ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় চাকুরীর আবেদন ফি, সরকারী বিভিন্ন লাইসেন্স,সার্ভিস ও জরিমানাসহ প্রায় অনেক কাজেই মাঝে মাঝে আমাদের ট্রেজারি চালান ফরম পূরণ করতে হয়। ট্রেজারি চালান ফরম সঠিকভাবে পূরণের কোন দিকনিদের্শনা সহজভাবে না পাওয়ায় অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষত যারা নতুন এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয় বা চাকুরির ফি প্রদান করতে ইচ্ছুক তারাই বেশীর ভাগ সময় এই ট্রেজারি চালান ফরম পূরণ করতে গিয়ে বিরক্তকর পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে থাকে। আজকের তথ্যের ভিত্তিতে আপনি জানতে পারবেন সঠিক নিয়মে কিভাবে ট্রেজারি চালান ফরম পূরণ করতে হয়।

ট্রেজারি চালান ফরম পূরণ করার সঠিক নিয়ম

 ট্রেজারি চালান ফরম পূরণ করার সঠিক নিয়ম

প্রথমেই একটি তথ্য জানিয়ে রাখা ভালো যে ট্রেজারি চালান ফরম বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়ে থাকে। তাই ট্রেজারি চালান ফরম বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় জমা দেওয়া যাবে এই দুইটি নির্ধারিত ব্যাংক ব্যতীত কোন অন্য কোন ব্যাংকে ট্রেজারি চালান জমা দেওয়া যাবে না। তাহলে এখন চলুন ধারাবাহিকভাবে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ট্রেজারি চালান ফরম পূরণ করবেন।ট্রেজারি চালান ফরমটি আপনাকে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখা অফিস হতে সংগ্রহ করে নিতে হবে। এছাড়াও নিকটস্থ কোন অনলাইন স্টোর বা কম্পিউটার দোকানে যোগাযোগ করে ট্রেজারি চালান ফরম পাওয়া যেতে পারে।

ট্রেজারি চালান ফরম পূরণ করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কিত তথ্য

ট্রেজারি চালান ফরমের কপিটি  ডাউনলোড করে নিতে পারেন

https://www.sonalibank.com.bd/PDF_file/chalan.pdf

ট্রেজারি চালান ফরমের উপরের অংশের বামদিকে লেখা আছে দেখুন : চালান ফরম টি আর ফরম নং ৬ (এস,আর ৩৭ দ্রষ্টাব্য) এখানে আপনাকে কোন কিছু লিখতে হবে না। তার ঠিক ডানদিকে উল্লেখিত আছে : ১ম(মূল)কপি / ২য় কপি / ৩য় কপি। এই ফরমটি ব্যাংকে জমা দানের জন্য ১টি বা ২টি কপি রেখে দিতে পারে এবং আপনার কাজে ব্যবহারের জন্য ১টি কপি ফেরত দেওয়া হবে। তাই আপনাকে ট্রেজারি চালান ফরমের সর্বমোট ৩টি কপি তৈরি করতে হবে। বা যে কপিটি আপনি হাতে লিখেছেন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে টাইপ করে প্রিন্ট করেছেন সেই কপিটি হবে মেইন কপি । বাকি ২টি কপি আপনাকে ফটোকপি করে মোট তিনটি কপি তৈরি করে লেখা বা টাইপ করা কপিটি মুল কপি বানিয়ে উপরের ডানদিকে উল্লেখিত অংশ হিসেবে ১ম(মূল)কপি অংশে টিক চিহৃ দিতে হবে।

সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 

এর নিচের ট্রেজারি চালান ফরমের উপরের অংশের বামদিকে লেখা আছে দেখুন : চালান নং:…………………. এই অংশে আপনাকে কিছুই করতে হবে না এটা ব্যাংক কতৃপক্ষ দ্বারা পূরনীয়। এর সাথেই দেখুন দেওয়া আছে তারিখ : সেখানে আপনাকে ট্রেজারি চালান ফরম জমাদানের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। এর নিচের অংশে লেখা আছে বাংলাদেশ ব্যাংক / সোনালী ব্যাংকের লিমিটেড ………………………… এখানে যে ব্যাংকটিতে আপনি ট্রেজারি চালান ফরম জমা দিতে ইচ্ছুক সেই ব্যাংকের উপরে টিক চিহৃ দিন । এরপর ড্যাশ অংশটিতে যে ব্যংকটিতে ট্রেজারি চালান ফরম জমা দিচ্ছেন সেই জেলার নাম উল্লেখ করুন। এরপর দ্বিতীয় ড্রাশ অংশটিতে উল্লেখ করুন ব্যাংকটি কোন শাখায় অবস্থিত সেই শাখার নাম উল্লেখ করুন।

উপরের তথ্যগুলো ঠিক নিচে ট্রেজারি চালান ফরমে দেখুন দেওয়া আছে : কোড নং। এটা খুবই গুরুত্বপূণ্য একটি পূরণীয় অংশ তাই সর্তক হোন। অাপনি যে প্রতিষ্ঠানের নামে চালান ফরম ইস্যু করছেন সেই প্রতিষ্ঠান অবশ্যই আপনাকে একটি কোড নং প্রদান করেছে সেটি উল্লেখ করতে হবে যদি চাকরির ফি জমা দানের জন্য হয় তাহলে নিয়োগ বিজ্ঞতিটি ভালো ভাবে খুজেঁ দেখুন একটি ট্রেজারি চালান ফরমের কোড নং অবশ্যই সেখানে দেওয়া রয়েছে । সেই কোড-নং টি সংগ্রহ করে আপনাকে কোড নং এর খালি ঘরে এক একটি সংখ্যা দ্বারা পূরণ করে দিতে হবে। কিন্তু অবশ্যই মনে রাখতে হবে যেন ভুল না হয়।

বেসরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 

কোড নং পূরণের পর এর নিচে দেখুন ট্রেজারি চালানের একটি বক্স দেওয়া আছে যার বামদিকে লেখা আছে : যাহার মারফত প্রদত্ত হইল তার নাম ও ঠিকানা। আপনি যদি স্বশরীরে নিজের ট্রেজারি চালান ফরমটি ব্যাংকে গিয়ে জমা দিতে চান তাহলে এই অংশটির নিচে শুধু “নিজ” উল্লেখ করে দিয়ে মোবাইল নম্বরটি লিখুন। যদি আপনার ট্রেজারি চালান ফরমটি আপনার অনুউপস্থিতে অন্য কারো মাধ্যমে জমা দিতে চান তাহলে সেই অংশে সেই ব্যাক্তির নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করুন।

উপরে উল্লেখিত অংশের ঠিক পাশের অংশে লেখা আছে : যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা প্রদত্ত হইল তাহার নাম, পদবী ও ঠিকানা। এই অংশের নিচের খালি ঘরে আপনার নাম বা আপনার প্রতিষ্ঠানের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। কিভাবে লিখবেন তার সহজ একটি নমুনা নিচে দেওয়া হল : নিমোক্ত নমুনাটি অনুসরণ করে সঠিক তথ্য দ্বারা ফাঁকা ঘরে পূরণ করতে হবে।

নাম :
পদবী(যদি থাকে) :
ঠিকান :
বাড়ি নং :               মহল্লা :
ডাকঘর :               জেলা :
মোবাইল নম্বর :

কি বাবদ জমা দেওয়া হইল তাহার বিবরণ : এই খানে নিচের খালি ঘরে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে আপনি কি জন্য এই টাকা জমা দিতে ইচ্ছুক তাহার সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত বিবরণ যেমন যদি আপনি চাকুরীর নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ট্রেজারি চালান জমা দেন তাহলে এই অংশে উল্লেখ করতে হবে “পরীক্ষার ফি বাবদ”। কিন্তু সবচেয়ে ভালো হয় এই অংশে কি লিখবেন তা যদি কোন বিজ্ঞতি আকারে থাকে তা সেই অংশে উল্লেখিত থাকে সেই মতাবেক পূরণ করা।

 ব্যাংক চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

মুদ্রা ও নোটের বিবরণ/ড্রাফট,পে-অর্ডার ও চেকের বিবরণ : আপনি যদি বাংলাদেশী মুদ্রা “টাকা” ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে চান তাহলে এই অংশে লিখে দিন “নগদ”। কিন্তু যদি ভিন্ন কোন কারেন্সি বা মুদ্রা ব্যবহার করুন ধরা যাক সেটা যদি হয় মার্কিন ডলার এর মাধ্যমে তাহলে আপনাকে ডলারের বিবরণ দিতে হবে। একই ভাবে আপনি যদি এই পেমেন্ট ব্যাংক চেকের মাধ্যমে জমা দিতে ইচ্ছুক হন তাহলে উক্ত চেকের নাম,নম্বর,ব্যাংকের বিবরণ উল্লেখ করে দিতে হবে।

উপরে উল্লেখিত অংশের ঠিক পাশের অংশে লেখা আছে : টাকার অংক ও এর নিচে “টাকা” ও “পয়সা” এর ঘরে আপনি কত টাকা বা পয়সা জমা দিতে ইচ্ছুক তা সংখ্যায় লিখে উল্লেখ করতে খালি ঘরটিতে।এর নিচে পাবেন “মোট টাকা” এখানেও আপনাকে সংখ্যায় মোট টাকা উল্লেখ করে দিতে হবে।

বিভাগের নাম এবং চালানের পৃষ্ঠাংকনকারী কর্মকর্তার নাম, পদবী ও দপ্তর : এই অংশে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে আপনি যে প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তির নামে ট্রেজারি চালান ফরমের টাকা জমা দিচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তির নাম, এর পর পদবী যদি থাকে,তারপর উক্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সম্পূর্ণ্য ঠিকানা। যদি আপনি নিয়োগ বিজ্ঞতির জন্য চালান ফরম জমা দিতে ইচ্ছুক হোন তাহলে বিজ্ঞতিটি ভালো ভাবে দেখুন সেখানেই উল্লেখ করা রয়েছে কিভাবে আপনি এই অংশ পূরণ করবেন।

 আপনার প্রতিষ্ঠানের চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করুন

ট্রেজারি চালান ফরমের একেবারে নিচে পাবেন “টাকা (কথায়): এই ঘরটিতে আপনি মোট যত টাকা জমা দিতে ইচ্ছুক সেই টাকা কথায় লিখতে হবে। এবং সর্বশেষ একটি “তারিখ:………” এর ঘরে জমা দানের তারিখ উল্লেখ করতে হবে।

উপরোক্ত কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে শেষ এবং খালিঘরগুলো সঠিক তথ্য দ্বারা ট্রেজারি চালান ফরম পূরণ করে আপনার সর্বশেষে কিছু তথ্য পূণঃবার দেখা উচিত। এর মধ্যে থাকবে জমা দানের তারিখ,কোন ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিবেন,কোন জেলায় ও শাখায় অবস্থিত সেটি দেখতে হবে। খুবই সর্তক ভাবে মিলিয়ে নিবেন ট্রেজারি চালানের কোড নং, এর পর নিম্নের বক্সে থাকা উল্লেখিত বর্ণনামূলক অংশ বিশেষ করে টাকা ও পয়সা। এরপর আপনার কাজ যে অংশটি মূল কপি তৈরি করতে চান সেটি দ্বারা আরো ২টি কপি হুবহু করে লিখতে হবে অথবা ফটোকপি করে মোট তিনখানা কপি তৈরি করতে হবে। এরপর নিদিষ্ট ব্যাংকে গিয়ে ট্রেজারি চালান ফরমের নিদিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে। ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে অবশ্যই মূল কপিটি সংগ্রহ করে নিতে হবে।

বি:দ্র:- উপরোক্ত তথ্য উপাত্তগুলো ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন উৎস থেকে যতটা সম্ভব সঠিকভাবে উপস্থাপন ও আপডেট তথ্য প্রদান  করার চেষ্টা করা হয়েছে। তার পরেও নির্ধারিত কতৃপক্ষ কতৃর্ক বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন বা পরিমার্জন ও অনিচ্ছাকৃত ভুল-ত্রুটি হতেই পারে। যদি আপনার অতি জরুরী ও নিখুঁত তথ্যের খুবই প্রয়োজন হয় তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংক এর ওয়েবসাইট ভিজিট করতে ভুলবেন না। উল্লেখিত তথ্যগুলো গুলো শুধুমাত্র আপনার তথ্যের চাহিদা পূরণ করতে পারবে।
 
আমাদের সাথে যুক্ত হতে চাইলৈ : ফেসবুক পেইজ | | ফেসবুক গ্রুপ
উপরোক্ত তথ্য সম্পর্কিত কোন মতামত জানাতে চাইলে কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন

0 মন্তব্য সমূহ: