এই মাত্র
লোডিং...
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার সম্পূর্ণ নিয়মাবলী

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার সম্পূর্ণ নিয়মাবলী

ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত বাংলাদেশের মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ লেনদেনের জনপ্রিয় মাধ্যম বিকাশ। How To Create Bkash Merchant Account। মোবাইল ব্যাংক ভিত্তিক দেশজুড়ে টাকা আদান-প্রদান,শপ পেমেন্ট,মোবাইল রিচার্জ,ইউটিলিটি-বিল সহ আরোও অনকে কিছু করার নিরাপদ ও সহজ ডিজিটাল লেনদেন মাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত হয় বিকাশ। ব্র্যাক ব্যাংকের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকাশের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বাণিজ্যিকভাবে আর্থিক লেনদেন করার জন্য বিকাশের মার্চেন্ট একাউন্ট হচ্ছে সবথেকে আপডেটে ও ফিচার সম্বলিত একটি সুবিধাজনক এবং নিরাপদ ডিজিটাল  ব্যবস্থাপনা।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশের পার্সোনাল বা ব্যক্তিগত একাউন্টের চেয়ে বেশ কিছু অতিরিক্ত সুবিধা সম্বলিত একাউন্ট হচ্ছে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট। মার্চেন্ট একাউন্টের মাধ্যমে বিশেষত বাণিজ্যিক অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সুবিধা পাওয়া যায়, যার ফলে বাণিজ্যিকভাবে এই একাউন্ট বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্রিয়েট করার জন্য বা খোলার জন্য আপনাকে প্রথমে বিকাশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। ওয়েবসাইটে থাকা “ওপেন এ বিকাশ একাউন্ট” ক্লিক করতে হবে এরপর পাওয়া যাবে দুইটি নতুন অপশন। একটি হচ্ছে “এজেন্ট ভিত্তিক বিকাশ একাউন্ট” এবং অপরটি হচ্ছে “বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট” আপনাকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সিলেক্ট করে দিতে হবে। নিম্নের ছবির মত একটি ফরম পাবেন তা সঠিক ভাবে আপনার তথ্য দ্বারা পূরণ করতে হবে। 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার ফরম

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার ফরম বা বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার আবেদন ফর্মে যেসব তথ্য পূরণ করতে হবে তা নিম্নে ধারাবাহিকভাবে প্রদত্ত হল :

১। ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম: আপনি কি নামে ব্যবসা পুরচালনা করছেন অথবা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিদিষ্ট কোনো নাম থাকলে তা দিতে হবে।    
 
২। ওয়েব ঠিকানা (যদি থাকে): আপনার প্রতিষ্ঠানের যদি কোনো ওয়েব সাইট থাকে, অথবা ই কমার্স লেনদেন করেন, সে সাইটের লিংক দিতে পারেন। তবে এটি বাধ্যতা মূলক নয়।
 
৩। কার্যালয়ের ঠিকানা: আপনার সপটির অথবা আপনার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান যে কার্যালয় আছে, তার লোকেশন উল্লেখ করুন। কার্যালয় যদি একটিও হয়, অর্থাৎ যদি কোনো শাখা নাও থাকে, তাও ওই লোকেশনটি উল্লেখ করুন। এখানে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হলো, বিকাশের কোনো এজেন্ট আপনার কার্যালয় ভিজিট করতে আসতে পারে। সুতরাং ঠিকানা ভুল দিলে আপনি একাউন্ট করতে ব্যর্থ হতে পারেন।
 
৪। ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ধরণ: আপনি কি ধরণের ব্যাবসা করছেন। অর্থাৎ আপনার সার্ভিসটা কি তা উল্লেখ করতে হবে।
 
৫। ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ঠিকানা: বর্তমানে আপনি কোথায় আপনার ব্যাবসা পরিচালনা করছেন তা উল্লেখ করুন। ভুল ঠিকানা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা এতে আপনার একাউন্ট করতে ব্যর্থ হতে পারেন
 
৬। প্রতিমাসে পেমেন্ট গ্রহণের পরিমান (আনুমানিক): আপনি প্রতি মাসে কি পরিমান পেমেন্ট গ্রহণ করে থাকেন তার একটি আনুমানিক ধারনা ‍দিবেন।
 
৭। যিনি মার্চেন্ট হতে চান তার নাম: আপনার একাউন্ট হলে আপনার নামটি উল্লেখ করুন
 
৮। যোগাযোগের নাম্বার: এমন একটি নাম্বার প্রদান করুন যেখানে আপনাকে সহজে পাওয়া যায়।
 
৯। ফটো আইডি নাম্বার (জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট আইডি/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স): এখানে তিনটির মধ্যে যে কোনো একটি ডকুমেন্টের নাম্বার দিলেই হবে। নাম্বারটি বক্সে প্রদান করুন।
 
১০।মেয়াদ সহ ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার: মার্চেন্ট একাউন্ট করতে হলে আপনার একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে এবং অবশ্যই সেটার মেয়াদ থাকতে হবে। লাইসেন্স থাকলে এটির নাম্বারটি প্রদান করুন
 
১১। ই-মেইল: আপনার ই-মেইলটি দিন। এটি দেয়া বাধ্যতামূলক
 
১২। ক্যাপচা পূরণ করতে হবে : সর্বশেষে আপনি একটি ক্যাপচা পাবেন। এখানে একটি সিম্পল ম্যাথ থাকতে পারে। যেমন ধরুন (১৭ + ৩ =) এটা। উত্তরটি নিচের বক্সে দিন।
জমা দিন/সাবমিট করুন: সবার নিচে জমা ‍দিন নামে একটি অপশন খুজে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে আপনার ফর্ম জমা দিন।

উপরোক্ত বিকাশ মার্চেন্ট ফরমটি সঠিক ভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনার বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট পরীক্ষা ও বিচার বিশ্লেষণ করে সকল কিছু ঠিক ঠাক থাকলে প্রাথমিকভাবে অফিসিয়াল ভাবে অনুমোদন প্রদান করে দিবে। তারপর আপনার সাথে ফরমে উল্লেখিত মোবা্‌ইল নাম্বারে যোগাযোগ করবে এবং আপনার নিকটবর্তী তাদের বিকাশ মার্চেন্ট অফিসে আসার অনুরোধ করবে। তখন আপনাকে আবেদনের পূর্বে ফরমসহ নির্ধারিত বিভিন্ন ডকুমেন্ট সহ অফিসে গিয়ে দেখা করতে হবে। এরপর আপনার সাথে আলোচনার মাধ্যমে ও সর্বশেষ যাচাই-বাছাই করে আপনার বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সেবা চালু করে দেওয়া হবে।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য যা যা প্রয়োজন

  • যে কোন অপারেটের সংযোগ সহ একটি মোবাইলফোন বা স্মার্টফোন।
  • আপনার ছবিযুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ফটোকপি। (জাতীয় পরিচয়পত্র/ড্রাইভিং লাইসেন্স/পাসপোর্ট)
  • দুই (২) কপি পার্সপোট সাইজের রঙ্গিন ছবি।
  • প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স, মেয়াদ থাকতে হবে।
  • সচল একটি ব্যক্তিগত/প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক একাউন্ট।
  • টিআইএন নম্বর (ই-টিন নম্বর প্রয়োজন হতে পারে)
  • বিকাশ ওয়েবসাইটে উল্লেখিত তথ্য দ্বারা পূরণকৃত ফরমটির প্রিন্ট কপি।

 বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ হচ্ছে ১.৭০% যেখানে বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট এর ক্যাশ আউট চার্জ ১.৮৫%। এছাড়াও বিকাশ মাচেন্ট একাউন্টের কোন প্রকার ট্রান্সজেকশন লিমিট নেই। মাত্র ১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ যে কোন পরিমাণ অর্থ খুব সহজে ও নিরাপদে লেনদেন করা সম্ভব।

ডিবিবিএল রকেট একাউন্ট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের সুবিধাসমূহ

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে ট্রানজেকশন রেট খুবই কম যা ব্যক্তিগত একাউন্টের সাথে তুলনা করলে প্রথম সুবিধা হিসেবে বিবেচিত হবে। বিকাশ মার্চেন্ট সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কোন গ্রাহক সার্ভিস/প্রডাক্ট নিয়ে পেমেন্ট প্রদানের ক্ষেত্রে বিকাশ করলে অতিরিক্ত কোন অর্থ/চার্জ কাটা হয় না। মাত্র ১ টাকা থেকে প্রডাক্ট পেমেন্ট বা লেনদেন করা যায়। এমনকি বিকাশ পার্সোনাল বা ব্যক্তিগত একাউন্টের নির্ধারিত ট্রানজেকশন লিমিট আরোপ করা হলেও মার্চেন্ট একাউন্টে কোন প্রকার ট্রানজেকশন লিমিট না হওয়ার ফলে আনলিমিট ট্রানজেকশন সুবিধা পাওয়া যাবে।আপনার ব্যবসার জন্য বিভিন্ন অফার দিতে পারবেন। আপনার প্রতিষ্ঠানের পন্য বা সেবা বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য বিকাশ অফার চালু করতে পারবেন। বিকাশ মার্চেন্ট থেকে সরাসরি বিকাশ মার্চেন্টের ব্যাংক একাউন্টে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন চার্জ প্রযোজ্য। ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবেন। যা বাণিজ্যিকভাবে অর্থ লেনদেনের পথ সুগম ও সম্প্রসারিত করেছে।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের অসুবিধাসমূহ

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের অসুবিধার কথা চিন্তা করলে সবচেয়ে বড় যে অসুবিধার কথা প্রথমে সামনে আসে তা হলো এজেন্ট নাম্বার থেকে পেমেন্ট করা যায়না।বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে শুধুমাত্র পার্সোনাল একাউন্ট থেকেই পেমেন্ট করা যায়। কোন এজেন্ট বিকাশ একাউন্ট থেকে পেমেন্ট করার সুবিধা নেই। বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে পার্সোনাল বা ব্যক্তিগত একাউন্টের মত যেকোন সময় এজেন্ট বা এটিএম বুথের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করা যায়না ।বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি ব্যাংক একাউন্ট সংযুক্ত করতে হবে । এবং সেই ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমেই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের সকল অর্থ সপ্তাহের নির্ধারিত কার্যদিবসে জমা হয়ে যাবে।

আমাদের সাথে যুক্ত হতে চাইলৈ : ফেসবুক পেইজ | | ফেসবুক গ্রুপ

উপরোক্ত তথ্য সম্পর্কিত কোন মতামত জানাতে চাইলে কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন

0 মন্তব্য সমূহ: