দিন দিন বাড়ছে বৈদ্যুতিক জিনিসের ব্যবহার। দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ ব্যবহার ছাড়া বর্তমান জীবন ব্যবস্থা কল্পনা করাটাও যেন একটি অকল্পনীয় ব্যাপার। সকালে ঘুম থেকে উঠেই বেড রুমের লাইট ও ফ্যানের সুইচ অন-অফ করার মাধ্যমে শুরু হয় বিদুৎ ব্যবহারের একটি নতুন দিন,এভাবেই নতুন পুরাতন বিভিন্ন বৈদ্যুতিক জিনিস ব্যবহার মাধ্যমে চলে দিনের সারাটাক্ষণ বিদুৎতের সাথে মানব জীবনের পথ চলা। যদি কোন দিন বা কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার না হয় সেই দিন বা কিছুক্ষণের মধ্যে মনে পড়ে যায় বিদ্যুৎ মানব জীবনে কতটা অপরিহার্য় বিষয় ও মানব জীবনে বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রভাব কতটা শক্তিশালী। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই আমরা যে বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে মানব জীবনে কিছুটা সুখ বা গতি সঞ্জার করার শক্তি পাই সেই বিদ্যুৎ হতে পারে মানব জীবনের এক ভয়াবহ আতঙ্কের নাম যদি বিদ্যুৎ ব্যবহারে না হোন সাবধান।

অসাবধানভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে ঘটতে পারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে জীবন হানির ঘটনা
সাবধানতা ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারের আরেক নাম বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যা আপনার জীবনের দ্রুত হানি ঘটাতে সক্ষম।আমাদের মানবদেহ হচ্ছে বিদ্যুৎ প্রবাহের সুপরিবাহী। তাই বিদ্যুৎ প্রবাহমান আছে এমন কোন খোলা তার বা বোর্ডের সংস্পর্শে এলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন অনেকেই। খুব কম সময়ে শরীরে অনেকটা বিদ্যুৎ মানবদেহে যদি প্রবাহিত হয় তাহলে তৎক্ষণাৎ সেই ব্যক্তির মৃত্যুও পর্যন্ত হতে পারে। দিন দিন যেমন বাড়ছে বিদ্যুৎ ব্যবহার,ঠিক তেমনি হারে বাড়ছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভবনা, যেই ব্যক্তি বিদ্যুৎপৃষ্ট হন তার কোন কিছুই করার সামর্থ থাকে না। তখন আশেপাশে থাকা ব্যক্তিদের কি করণীয় বা কি করলে একটি জীবনপ্রাণ বেঁচে ফেরার সুযোগ পেলেও পেতে ।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক,
কোন ব্যক্তি যদি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় তাহলে তৎক্ষণাৎ আমাদের কি করণীয় ?
যে ব্যক্তি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েছে তার গায়ে কোন ভাবেই হাত দেবেন না। সেই জায়গাটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সাহায্য করার চেষ্ঠা করতে থাকুন বিদ্যুৎপৃষ্ট ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য। কোন ভাবেই যেন এক জনের জন্য অপর বা সাহায্যকারীর প্রাণের হানি ঘটতে পারে সেটা স্বাভাবিকভাবে এমন কিছু সেখানে করা ঠিক হবে না। গায়ে কোন ভাবেই পানি দেবেন না বরং ছাড়ানোর জন্য কোন উলের পোশাক, কাঠের লম্বা শুকনা বাঁশ বা লাঠির অংশ অথবা বিদ্যুৎ অপরিবাহী বস্তু ব্যবহার করুন।বিদ্যুৎ হতে ছাড়ানোর জন্য ব্যক্তির এমন কোন জায়গায় আঘাত করবেন না যাতে তিনি পরবর্তীতে পঙ্গু বা বড় আঘাত পায়। যদি কোন কিছু করার না থাকে তখন আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এতে করে ব্যাক্তিটি নতুন একটি জীবন ফিরে পেলেও পেতে পারে।
বিদ্যুৎ প্রবাহের বন্ধের জন্য কাছাকাছি কোন ব্যবস্থা বা মেইন সুইচ থাকে যা অফ করলে বিদ্যুৎ প্রবাহ তৎক্ষণাৎ বন্ধ হবে তাহলে দ্রুত মেইন সুইচ বন্ধ করুন। কিন্তু যদি মেইন সুইচটি দূঘটনা স্পট থেকে অনেক দূরে হয় আর ব্যক্তির অবস্থা করুণ পর্যায়ে থাকে তাহলে মেইন সুইচ বন্ধ করার জন্য সময় অপচয় করা মোটেও ঠিক হবে না সেই সময় যখন শুধুই একা কোন ব্যক্তি অবস্থান করছেন। যদি একের অধিক ব্যক্তি সেখানে অবস্থান করে তাহলে অপর জনকে বলুন দ্রুত মেইন সুইচ বন্ধ করতে এবং একজনকে সেখানে ব্যক্তিকে বিদ্যুৎপৃষ্ট হতে ছাড়ানোর জন্য চেষ্ঠা করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় বিদ্যুৎপৃষ্ট ব্যক্তিটিকে বিদ্যুৎ থেকে ছাড়ানোর পড়েও শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আছে, এমন সময় ব্যক্তির বুকের ওপর জোড়ে জোড়ে চাপ প্রয়োগ করে হৃদযন্ত্র সচল করার প্রক্রিয়া চালু রাখুন। এবং অবশ্যই রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। বিদ্যুতের উৎস থেকে সরাতে পারলেও আক্রান্ত ব্যাক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে দুধ ও গরম পানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন দ্রুত স্বাভাবিক হবে।
বিদ্যুৎ ঘটিত দুঘর্টনা হতে বাচঁতে সাবধানতা ?
- বিদ্যুতের কাজ করার সময় মেইন সুইচ বন্ধ করে নিন।
- পায়ে রাবারের জুতা দিয়ে বিদ্যুতের কাজ করুন, খালি পায়ে এমন কাজে হাত দেওয়া উচিৎ নয়।
- কোনোভাবেই ভেজা হাতে বাড়ির বৈদ্যুতিক সুইচ ব্যবহার করবেন না।
- বাসা-বাড়ি ও অফিস প্রতিষ্ঠানে কোন বিদ্যুৎ সংযোগ বিকল থাকলে দ্রুত পরিবর্তন ও সংস্কার করুন।
- আথিং ব্যবহারের প্রতি উৎসাহ প্রদান করুন।
- ছোট ছেলে-মেয়ে ও বয়স্কদের বৈদ্যুতিক জিনিস ব্যবহারে লক্ষ করুন ও সতর্ক হোন।